Loading

পরোটা-গোশতে ঈদ তৃপ্তি

প্রতি বছরই একরাশ খুশি আর আনন্দের উপলক্ষ হয়ে আমাদের জীবনে আসে ঈদ। ছেলে-বুড়ো সবার অংশগ্রহণে বর্ণিল আনন্দে ভরে ওঠে ঈদ উৎসব। আর এ উৎসব পূর্ণতা লাভ করে গোশতের বাহারি খাবারে।

কড়াই গোশত, কালা ভুনা কিংবা শাহী রেজালা – ভোজনরসিক বাঙালি হিসেবে ঈদুল আযহায় আমরা স্বাদ নেই হরেক রকম গোশতের খাবারের। কত-শত বাহারি পদের রান্না করা গোশতের ঘ্রাণে ভরে ওঠে আমাদের পাড়া-মহল্লা। সাথে থাকে দই, সালাদ আরো কত কি।

অবশ্য এক্ষেত্রে পুরো কৃতিত্বটা মায়েদেরই প্রাপ্য। প্রতিটি মায়ের হাতে রয়েছে রান্নার অনন্য যাদু। খাবারের যে ঘরোয়া স্বাদটা আমরা উপভোগ করি তা কিন্তু মায়ের হাতের এ অনন্য বৈশিষ্টের কারণেই ঘটে।

তবে ঈদে আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার হলো মায়ের হাতের রান্না করা গোশত দিয়ে পরোটা খাওয়া। মশলা মাখানো গোশতে র স্বাদে পরোটা খাওয়ার কথা ভাবলেই আমার কেন যেন জিভে জল এসে যায়। ঈদের কয়েকদিন খাবারের সে ধুম চলতেই থাকে। আহ, খাবার তো নয় যেন অমৃত। খেতে খেতে ভাবি “খাওয়াটা যদি আজীবন এরকমই চলত !”

কিন্তু পরোটা গোশতের সেই ঘরোয়া ভুরিভোজ আমার পক্ষে এখন আর তেমন সম্ভব হয়ে ওঠেনা। জীবনের তাগিদে মাকে ছেড়ে চলে আসতে হয় ঈদের পরপরই। দৈনন্দিন ব্যস্ততায় মন চাইলেও গোশত পরোটার সেই ভোজন বিলাস উপভোগ করতে পারিনা। ফ্রিজভর্তি গোশত কিন্তু পরোটা বানাবো কখন? মনে মনে মিস করি মায়ের হাতের সেই রান্নার স্বাদ কিন্তু বাস্তবে হয়ে ওঠেনা স্বাদের সেই রসনা বিলাস। শুধু ভোজন তৃপ্তির কথা স্মরণ করে দিন কেটে যায়।

এমনি এক অতৃপ্তময় দিনে বাসায় গোশত দেখে আর তর সইলো না। সিদ্ধান্ত নিলাম বাজার থেকে ফ্রোজেন পরোটা আনার। বাজারে দেখি অনেক রকম ফ্রোজেন পরোটা সাজানো। কোনটি কিনি? একটির প্যাকেটের গায়ে লেখা “ঘরোয়া স্বাদ যখন-তখন।” ঘরোয়া স্বাদ? ইন্টারেষ্টিং তো! বাসায় কিনে আনলাম ডেলিফ্রস্টের ফ্রোজেন পরোটা। প্রস্তুত করে গোশত দিয়ে খেয়ে ফেললাম তৎক্ষণাৎ। আহ ! যেন মায়ের হাতের স্বাদ পেয়ে গেলাম।

তাই আমার মত পরোটা গোশতপ্রিয় মানুষদের জন্য ডেলিফ্রস্টের ফ্রোজেন পরোটা যেন দেখালো আশার আলো। পরোটা বানানো নিয়ে দুঃশ্চিন্তারও কিছু নেই। খুব সহজেই প্রস্তুত করে খাওয়া যায়। আর মায়ের হাতের ঘরোয়া গোশত পরোটার স্বাদও পাওয়া যাচ্ছে যখন তখন।